অন্যান্য সাহিত্যিক

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট বাঙ্গালী সাহিত্যিক ছিলেন। তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেন।

তিনি ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি গল্পের বই, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধের বই, ৪টি আত্মজীবনী এবং ২টি ভ্রমণ কাহিনী লিখেছেন।

লেখকের নাম: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
লেখকের ধরন: কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও গল্পলেখক
ছদ্মনাম: নেই
উপাধী:পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ

জন্ম: ২৩ জুলাই, ১৮৯৮
জন্মস্থান: পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন
মাতার নাম: প্রভাবতী দেবী
পিতার নাম: হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায়

শিক্ষা: লাভপুরের যাদবলাল হাই স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস (১৯১৬) করে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন
পেশা: লেখালেখি
সংসার-জীবন: ১৯১৬ সালে বিয়ে করেন। পত্মীর নাম উমাশশী দেবী

সাহিত্য-কর্ম:
বাঙালি ঔপন্যাসিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহিত্য কর্মের সংক্ষিপ্ত তালিকা নিম্নে প্রদত্ত হল :

নিশিপদ্ম ১৯৬২
ব্যর্থ নায়িকা
বিচারক, (১৯৫৭)
ফরিয়াদ, ১৯৭১
তামস তপস্যা, ১৯৫২
কালবৈশাখী, ১৯৬৩
কালিন্দী, ১৯৪০
গণদেবতা, ১৯৪২
পঞ্চগ্রাম, ১৯৪৪
আরোগ্য নিকেতন, ১৯৫৩
নাগিনী কন্যার কাহিনী, ১৯৫২
রাধা, ১৯৫৮
যোগভ্রষ্ট,১৯৬০
ডাইনি
একটি প্রেমের গল্প
রাধারানী
সপ্তপদী,১৯৫৭
হাঁসুলি বাঁকের উপকথা, ১৯৫১
চিরন্তনী
কবি, ১৯৪৪
কীর্তিহাটের কড়চা, ১৯৬৭
চৈতালি ঘূর্ণি, ১৯৩১
ধাত্রীদেবতা, ১৯৩৯
না, ১৯৬০
রসকলি, ১৯৩৮
পাষানপুরী, ১৯৩৩
চাঁপাডাঙার বৌ, ১৯৫৪
সন্ধ্যামনি
লেখার কথা
নীলকন্ঠ, ১৯৩৩
রাইকমল, ১৯৩৪
জলসাঘর, ১৯৩৭
যে বই লিখতে চাই
প্রেম ও প্রয়োজন, ১৯৩৫
কালাপাহাড়
বেদেনী
আমার চোখে কপালকুন্ডলা
আগুন, ১৯৩৭
মন্বন্তর, ১৯৪৪
হারানো সুর, ১৯৪৫
ছলানময়ী
স্বর্গমর্ত, ১৯৬৮
সন্দীপন পাঠশালা, ১৯৪৬
ঝড় ও ঝরাপাতা, ১৯৪৬
যাদুকরী
আমি যদি আমার সমালোচক হতাম
অভিযান, ১৯৪৬
পদচিহ্ন, ১৯৫০
যতিভঙ্গ, ১৯৬২
বন্দিনী কমলা
ডাকহরকারা, ১৯৫৮
আমার কালের কথা
পঞ্চপুত্তলী, ১৯৫৬
সংকেত, ১৯৬৪
মণি বৌদি, ১৯৬৭
পৌষলক্ষ্মী
ভূতপুরাণ
গন্নাবেগম
তমসা,১৯৬৩
বসন্তরোগ, ১৯৬৪
মঞ্জরী অপেরা, ১৯৬৪
বিপাশা, ১৯৫৮
উত্তরায়ন, ১৯৫০
মহাশ্বেতা, ১৯৬০
একটি চড়ুই পাখি ও কালো মেয়ে, ১৯৬৩
জঙ্গলগড়, ১৯৬৪
মহানগরী, ১৯৬৬
কালরাত্রি, ১৯৭০
ভুবনপুরের হাট, ১৯৬৪
অরণ্যবহ্নি, ১৯৬৬
হীরাপান্না, ১৯৬৬
অভিনেত্রী, ১৯৭০
গুরুদক্ষিণা, ১৯৬৬
শুকসারী কথা, ১৯৬৭
শতাব্দীর মৃত্যু
শক্করবাঈ, ১৯৬৭
ইতিহাস ও সাহিত্য
নবদিগন্ত, ১৯৭৩
রবীন্দ্রনাথ ও বাংলার পল্লী
দুই পুরুষ (নাটক)
ছায়াপথ, ১৯৬৯
মস্কোতে কয়েকদিন
পথের ডাক
দ্বীপান্তর
বিংশশতাব্দী (নাটক)
কালান্তর
সুতপার তপস্যা, ১৯৭১
একটি কালো মেয়ে, ১৯৭১
বিচিত্র, ১৯৫৩
নাগরিক, ১৯৬০
কান্না, ১৯৬২
বৈষ্ণবের আখড়া
নাটক
দ্বীপান্তর(১৯৪৫)
পথের ডাক(১৯৪৩)
দুই পুরুষ(১৯৪৩)

পুরস্কার:
* শরৎস্মৃতি পুরস্কার (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়)।
* জগত্তারিণী স্মৃতিপদক (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়)।
* রবীন্দ্র পুরস্কার (আরোগ্য নিকেতন)।
* সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার (আরোগ্য নিকেতন)।
* জ্ঞানপীঠ পুরস্কার (গণদেবতা)।
* পদ্মভূষণ পুরস্কার (ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা।)
* পদ্মশ্রী পুরস্কার (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা।)

মৃত্যু: ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ (কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)

বিশেষ তথ্যাবলি:
* তারাশঙ্করের প্রথম উপন্যাস চৈতালী ঘূর্ণি (১৯৩২)৷
* বীরভূম-বর্ধমান অঞ্চলের সাঁওতাল, বাগদি, বোষ্টম, বাউরি, ডোম, গ্রাম্য কবিয়াল সম্প্রদায়ের কথা তাঁর লেখায় বিশেষভাবে ফুটে ওঠে।
* মহাত্মা গান্ধীর রাজনৈতিক আদর্শ, বিশেষ করে তার অসহযোগ আন্দোলনে তিনি আকৃষ্ট হন।
* তারাশঙ্কর ছিলেন কংগ্রেসের কর্মী
* বিশ্ববিখ্যাত পরিচালক সত্যজিত্‍ রায় তার ‘জলসাঘর’ ও ‘অভিযান’-এর চলচ্চিত্র রূপ দেন৷

Negotiator - Sandip Goon, Jalpaiguri, India

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *