অন্যান্য মঙ্গলকাব্য

অন্নদামঙ্গল কাব্য

দেবী অন্নদার মাহাত্ম্য নিয়ে যে কাব্য লেখা হয়েছে তা-ই অন্নদামঙ্গল কাব্য নামে পরিচিত । কাব্যের রচয়িতা হলেন রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র রায়। আজকের এই পোস্টে আমরা অন্নদামঙ্গল কাব্যের কিছু নির্যাস তুলে ধরব যা একঝলকে ছাত্রছাত্রীদের কাজে লাগতে পারে।

অস্টাদশ শতকের কবি ভারতচন্দ্র রায়ের জন্ম ১৭০৫ – ১৭১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে । ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের তথ্য অনুসারে এই সময়কাল হল — ১৭১২ খ্রিঃ – ১৭৬০ খ্রিঃ। কবির জন্ম বর্ধমানের (?) পেড়ো বসন্তপুর গ্রামে। তাঁর কাব্যের নাম – অন্নদামঙ্গল কাব্য। কাব্যটির রচনা কাল — ১৭৫২ খ্রিঃ। কাব্য রচনাকাল-জ্ঞাপক শ্লোকটি হল – বেদ লয়ে ঋষি রসে ব্রহ্ম নিরূপিলা / সেই শকে এই গীত ভারত রচিলা।

কাব্যটির  তিনটি ভাগ – (ক) অন্নদা মঙ্গল (খ) কালিকা মঙ্গল বা বিদ্যা সুন্দর (গ) অন্নপূর্ণা মঙ্গল বা মানসিংহ।

এই কাব্যের প্রধান চরিত্রগুলি হল — অন্নদা, হীরা মালিনী, বিদ্যা কাব্যটিতে কবি বেশ কিছু অলংকার ব্যবহার করেছেন। সেগুলি হল – অনুকার, অনুপ্রাস, উপমা, বিরোধ, ব্যজস্তুতি প্রভৃতি। কাব্যের মূলত দুটি রস পাওয়া যায় – হাস্যরস ও আদি রস । কাব্যটির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র।

কবি ভারতচন্দ্র রচিত নাটক — চণ্ডী নাটক
কবির অন্য কাব্য — সত্যপীরের পাঁচালি
কবি রচিত অলঙ্কার গ্রন্থ — রসমঞ্জরী

তথ্যদানে – নীলরতন চট্টোপাধ্যায়, টার্গেট বাংলা