বাংলা প্রশ্নোত্তর

ইন্টারভিউ বাংলা মডেল প্রশ্নোত্তর

ইন্টারভিউ  for SLST – বাংলা বিষয়ের ইন্টারভইউ এর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নিজ বিষয় সম্পর্কে জানা – বাংলা মডেল প্রশ্নোত্তর -এ আপনাকে জানতে হবে সাহিত্যের ইতিহাস থেকে ব্যাকরণ সব কিছুই। আমাদের এই আলোচনায় বাংলা বিষয় থেকে নানা প্রশ্নোত্তর যথাসম্ভব ইন্টারভিউ উপযোগী করে আলোচনা করা হয়েছে – বাংলা প্রশ্নোত্তর। আশা করা যায়, পরীক্ষার্থীরা তাদের ইন্টারভিউ এর প্রয়োজনীয় বাংলা প্রশ্নোত্তর এখান থেকে পাবেন। এই আলোচনা সমগ্র আলোচনার দ্বিতীয় পর্ব। বাংলা মডেল প্রশ্নোত্তর -এর প্রথম পর্বের জন্য এখানে ক্লিক করুন

ইন্টারভিউ বাংলা মডেল প্রশ্নোত্তর – উপপর্ব – ১

২৬] ‘বাক্য’ শব্দটির অর্থ কী ?

‘বাক্য’ শব্দটির অর্থ হল বলার উপযুক্ত।

২৭] মৌলিক ধাতুকে সিদ্ধ ধাতু বলার কারণ কী ?

মৌলিক ধাতুকে বিশ্লেষণ করা যায় না। এই ধাতু নিজেই সিদ্ধ বা স্বয়ংসিদ্ধ। তাই মৌলিক ধাতুকে সিদ্ধ ধাতু বলা হয়।

২৮] নামধাতু নামকরণ করার কারণ কী ?

নামধাতু একপ্রকার সাধিত ধাতু। এই ধাতুর মূলে থাকে কোন বিশেষ্য বা বিশেষণবাচক নামপদ। তাই এই প্রকার সাধিত ধাতুকে নামধাতু নামকরণ করা হয়েছে।

২৯] অব্যয়ীভাব সমাসকে বর্তমানে ব্যাকরণ থেকে বাদ দেওয়ার কারণ কী ?

আসলে সংস্কৃতে এমন কিছু পদ (শব্দ) আছে যা অব্যয় না হলেও সমাসবদ্ধ হবার পর অব্যয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বাংলায় উক্ত পদ (শব্দ) গুলি বিশেষ্য, বিশেষণ বা ক্রিয়া বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরকম পদের গঠন তৎপুরুষ বা বহুব্রীহি সমাসেও দেখানো হয়। তাই অব্যয়ীভাব সমাসকে বর্তমানে ব্যাকরণ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

৩০] প্রযোজক ধাতুকে ণিজন্ত ধাতু বলা যায় কি ? যুক্তি দিন।

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত প্রযোজক ধাতুকে ণিজন্ত ধাতু বলা যায় না। কারণ, সংস্কৃত ভাষায় মৌলিক ধাতুর সঙ্গে নিচ্‌ (ই) প্রত্যয় যুক্ত হয়ে প্রযোজক ধাতু গঠিত হয় বলে তা ণিজন্ত ধাতু। কিন্তু বাংলা ভাষায় প্রযোজক ধাতু গঠনে নিচ্‌ (ই) প্রত্যয় নয়, ‘আ’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। তাই বাংলায় প্রযোজক ধাতুকে ণিজন্ত ধাতু বলা যায় না।

আরো পড়ুন

৩১] রবীন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি’ আত্মজীবনী না কবি হয়ে ওঠার কাহিনী ?

আত্মজীবনীতে থাকে জীবনের ধারাবাহিক পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণণা। কিন্তু ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে সেরকম ধারাবাহিক ক্রম অনুযায়ী বর্ণণা নেই, বরং এখানে ব্যক্তিজীবনের চেয়ে কবি হয়ে ওঠার কাহিনীই বর্ণিত হয়েছে। তাই এটি আত্মজীবনী না হয়ে কবি হয়ে ওঠার কাহিনীই হয়ে উঠেছে।

৩২] বৈদিক ভাষার নাম সংস্কৃত হয়েছিল কেন ?

বৈদিক ভাষা এদেশের অন্যভাষায় সংস্পর্শে আসার ফলে মৌখিকভাবে অন্যভাষার (পালি, প্রাকৃত, অপভ্রংশ) শব্দ বৈদিক ভাষায় ঢুকে পড়ছিল। ফলে বৈদিক ভাষা তার কৌলিন্য হারিয়ে ফেলছিল। সেই সময় পাণিণি এই ভাষার সংস্কার সাধন করে লিখিত রূপ দেন। এই সংস্কার কৃত বলে ভাষাটির নাম হয় সংস্কৃত।

৩৩] বৈষ্ণব আলংকারিকেরা কয়টি রসের কথা বলেছেন ? এর মধ্যে কোন রসটি শ্রেষ্ঠ ?

বৈষ্ণব আলংকারিকেরা পাঁচটি রসের কথা বলেছেন। এর মধ্যে মধুর রস শ্রেষ্ঠ।

৩৪] বাগধ্বনি কয় প্রকার ও কি কি ?

বাগধ্বনি দুই প্রকার – বিভাজ্য ও অবিভাজ্য ধ্বনি।

৩৫] দেশভাগের পটভূমিকায় রচিত দুটি উপন্যাসের নাম বলুন।

দেশভাগের পটভূমিকায় রচিত দুটি উপন্যাসের নাম হল – শক্তিপদ রাজগুরুর ‘মেঘে ঢাকা তারা’ এবং অমিয়ভূষণ মজুমদারের ‘গড় শ্রীখন্ড’।

৩৬] রামরসায়ন সম্পর্কে কিছু জানেন ? জানলে কিছু বলুন।

হ্যাঁ জানি। রামরসায়ন হল অষ্টাদশ শতকে রঘুনন্দন দ্বারা কৃত রামায়ণের অনুবাদ।

৩৭] ‘অষ্টলোকপালকথা’ কোন বিষয় অবলম্বনে রচিত কাব্য ? এই কাব্যের একজন কবির নাম বলুন।

‘অষ্টলোকপালকথা’ হল সূর্যব্রত কাহিনী অবলম্বনে রচিত কাব্য। এই কাব্যের একজন কবি হলেন দ্বিজ মালাধর।

৩৮] ষোড়শ শতকে কে ‘সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জমাল’ নামে কাব্য লিখেছিলেন ? এটি কোন প্রকার কাব্য ?

ষোড়শ শতকে ‘সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জমাল’ নামে কাব্য লিখেছিলেন দোনা গাজী। কাব্যটি রোম্যান্টিক আখ্যানধর্মী ইসলামী কাব্য।

৩৯] ‘পলাশীর যুদ্ধ’ কাব্যটি কার লেখা ? গ্রন্থটি কাকে উৎসর্গ করা হয়েছে ?

‘পলাশীর যুদ্ধ’ কাব্যটি নবীনচন্দ্র সেনের লেখা। গ্রন্থটি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে উৎসর্গ করা হয়েছে।

৪০] এমন একটি নাটকের নাম বলুন যার পটভূমিতে আছে পঞ্চাশের মন্বন্তর এবং আগস্ট আন্দোলন।

বিজন ভট্টাচার্যের ‘নবান্ন’।

ইন্টারভিউ বাংলা মডেল প্রশ্নোত্তর – উপপর্ব – ২

৪১] শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের প্রথম মতামত কোন পত্রিকায় এবং কখন প্রকাশিত হয় ?

শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের প্রথম মতামত প্রকাশিত হয় ‘ভারতী’ পত্রিকায়। সময়কাল ১৮৮৩ খ্রিঃ। উক্ত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধটির নাম ছিল ‘ন্যাশনাল ফান্ড’।

৪২] প্রাচীন বাংলা কয়টি জনপদে বিভক্ত ছিল ? এবং কি কি ?

প্রাচীন বাংলা পাঁচটি জনপদে বিভক্ত ছিল – রাঢ়, সুহ্ম, পুন্ড্র, বঙ্গ এবং কামরূপ। সেসময় ‘বঙ্গ’ বলতে পূর্ববঙ্গকে বোঝানো হত।

৪৩] সপ্তম শ্রেণি ও অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের ভাবমূল কী ?

সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের ভাবমূল হল ‘সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান’ এবং অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের ভাবমূল হল ‘বন্ধুত্ব ও সহানুভূতি’।

৪৪] আপনার মতে পাঠ্যপুস্তক কী ?

নির্দিষ্ট পাঠক্রম অনুসারে শিখনকার্যে সহায়ক এবং শিখনের উদ্দেশ্যে রচিত, মুদ্রিত তথা প্রকাশিত পুস্তকই হল  পাঠ্যপুস্তক।

৪৫] বাংলা বানানের সংস্কার সাধনে কোন কোন প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে ?

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাহিত্য একাডেমি

আরো আছে

৪৬] আপনার বিষয়ে কোন ক্লাসের জন্য প্রশ্ন তৈরী করছেন ? কোন কোন বিষয়ে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে ?

প্রশ্নের ভাষা হবে সহজ সরল, তার বক্তব্যে থাকবে স্পষ্টতা। প্রশ্ন যাতে দীর্ঘ না হয় সেদিকে আমাকে খেয়াল রাখতে হবে কারণ প্রশ্ন দীর্ঘ হলে তা ছাত্রছাত্রীদের বোধগম্য নাও হতে পারে।

৪৭] কোন ছাত্র বা ছাত্রী পরীক্ষায় ভুল বানান লিখেছে। এক্ষেত্রে আপনার করণীয় কী হবে ?

আমাকে ভুল বানানটিকে চিহ্নিত করতে হবে প্রথমে – গোল দাগ দিয়ে। তারপর পাশে সঠিক বানানটি লিখে দিতে হতে হবে।

৪৮] SCERT র পুরো কথা কি ? এর কাজ কী ?

SCERT র পুরো কথা হল – State Council for Educational Research and Training। এর কাজ হল প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং পাঠ্যপুস্তক বা অন্যান্য গাইডবুক প্রস্তুত করা।

৪৯] উপন্যাস ও ছোটগল্পের মূল পার্থক্য কোথায় ?

উপন্যাসের প্রেক্ষাপট হয় বৃহৎ কিন্তু ছোটগল্প জীবনের একটি মাত্র ঘটনাকে কেন্দ্র করে একমুখী লক্ষ্যে এগিয়ে চলে।

৫০] ঘৃষ্ট ধ্বনির এরূপ নামকরণের কারণ কী ?

‘ঘৃষ্ট’ কথার অর্থ যা ঘর্ষিত হয়েছে এমন। যেহেতু এই ধ্বনিগুলির উচ্চারণকালে মুখের পথ প্রথমে সম্পূর্ণ রুদ্ধ হয়ে যায় এবং তারপর সামান্য উন্মুক্ত হয়ে ঘর্ষণের মত ধ্বনি সৃষ্টি করে তাই এই ধ্বনিগুলির নাম ঘৃষ্ট ধ্বনি।

উদাহরণ – চ্‌   ছ্‌   জ্‌   ঝ্‌

Edited by – Nilratan Chatterjee

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *