অন্যান্য সাহিত্যিক

নরেন্দ্রনাথ মিত্র – ‘চেনামহল’ এর অচেনা ব্যক্তিত্ব

বিশ্বযুদ্ধোত্তর বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম শিল্পী নরেন্দ্রনাথ মিত্র। বাঙালি মধ্যবিত্ত জীবনের কাহিনী ধরা পড়েছে তাঁর উপন্যাস ছোটগল্পে। কোনো কোনো সমালোচক তাঁকে শরৎচন্দ্র পরবর্তী বাঙালি মধ্যবিত্ত জীবনের প্রধান রূপকার হিসেবেও দেখেছেন। ‘চেনামহল’ উপন্যাস দিয়েই বাঙালি পাঠক তাঁকে অধিক চেনেন। কিন্তু এই উপন্যাসটি ছাড়াও তাঁর আরও অনেক উপন্যাস, ছোটগল্প আছে যা তাঁর কবি প্রতিভাকে চিনিয়ে দেয়।

জন্ম ও বংশ পরিচয়

নরেন্দ্রনাথ মিত্র – এর জন্ম ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জানুয়ারি, বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার সদরদি গ্রামে। বাল্যাকালে তাঁর ডাক নাম ছিল পল্টু। এক একান্নবর্তী পরিবারের সন্তান ছিলেন তিনি। পিতার নাম মহেন্দ্রনাথ মিত্র। মাত্র চার বছর বয়সে মাতৃহারা হন নরেন্দ্রনাথ। তারপর থেকেই ‘বড়মা’র কাছে বড় হওয়া। তাঁর বাল্যকাল কেটেছে সদরদি গ্রামেই। পিসিমা, যাকে তিনি ঠাকুরমা বলেই জানতেন ও মানতেন তাঁর কাছে রূপকথার গল্প আর পারিবারিক নানা গল্পকথা শুনতে শুনতে তাঁর বড় হওয়া। পরিবারে সকলের স্নেহ তাঁর ছোটবেলাকে ঘিরে রেখেছিল। শুধু তাই নয়, তাঁর পিতা শিশু নরেন্দ্রনাথকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সংস্কৃত শ্লোক আবৃত্তি করাতেন, নিজেও গান গাইতেন। পিতার সম্পর্কে নরেন্দ্রনাথ পরে লিখেছিলেন –

“সবচেয়ে জীবন্ত প্রাণপুরুষ ছিলেন আমার বাবা। এমন পুরুষমূর্তি আমি আর জীবনে দেখিনি।। .  . . এই কোমলে কঠিনে গড়া একই সঙ্গে বিষয়বুদ্ধি আর শিল্পবুদ্ধিতে সমৃদ্ধ বহুকর্মা পুরুষটির প্রায় কিছুই আমি পাইনি।” – “আত্মকথা”

নরেন্দ্রনাথের ভাই ধীরেন্দ্রনাথ মিত্রও শুনিয়েছেন একই কথা। নরেন্দ্রনাথ মিত্র রচনাবলীর প্রথম খণ্ডের ‘পরিশিষ্ট’ অংশে তিনি লিখছেন –

“বাবার সঙ্গে দাদার কোন দিক থেকে মিল ছিল না।”

নরেন্দ্রনাথের বংশগত ধর্ম ছিল বৈষ্ণব। পিতা মাতা খড়দহের গোস্বামীর কাছে দীক্ষিত ছিলেন। যদিও নরেন্দ্রনাথ কোনো দীক্ষা নেননি, কিন্তু পরিবারে এ বিষয়ে নানা চর্চা ছিল। নরেন্দ্রনাথ জানিয়েছেন –

“আমার মা সেই কীর্তন, ভাগবত পাঠ, পূজা পার্বণ, যাত্রা, কবি, কথকতার মধ্যে রসের দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন।” আমরা লেখকের অনেক রচনাতেই বৈষ্ণবীয় ভাব এবং কীর্তনীয়ার কথা পাই। আর তা তাঁর পরিবারের প্রভাবপুষ্ট। – “আত্মকথা”

শিক্ষা ও কর্মজীবন

নরেন্দ্রনাথ বঙ্গা হাইস্কুল থেকে প্রথম ডিভিশনে ম্যাট্রিকুলেশান পাশ করেন ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে। তারপর ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে প্রথম ডিভিশনে আই.এ উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে বি.এ পাশ করেন কলকাতার বঙ্গবাসী কলেজ থেকে। প্রথমদিকে তিনি গৃহশিক্ষকতাকে রোজগারের প্রধান অবলম্বন করেছিলেন। কিন্তু -“দাদার টিউশনিতে সুনাম ছিল না। ছাত্ররা তাকে মানত না। তার ফলে দাদাকে ফরিদপুরে অনেক জায়গায় টিউশনি বদল করতে হয়েছে।” জানাচ্ছেন ধীরেন্দ্রনাথ মিত্র। এরপর ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হবার পর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে চেকারের কাজেও নিযুক্ত হয়েছিলেন নরেন্দ্রনাথ। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ তিনি ক্যালকাটা ন্যাশনাল ব্যাংকে চাকরি পান। এরপর আরো কয়েকটি চাকরি বদল করেন তিনি। প্রথমে ‘কৃষক’, পরে ‘স্বরাজ’, ‘সত্যযুগ’ পত্রিকায় চাকরি করেন তিনি। পরে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তিনি ‘আনন্দবাজার’ এ চাকরি করেন তিনি।

নরেন্দ্রনাথ ও সাময়িক পত্রিকা

নরেন্দ্রনাথের লেখালেখির ঝোঁক ছোটবেলা থেকেই। এই ঝোঁক থেকেই স্কুলে পড়াকালীন কয়েকজন বন্ধু মিলে প্রকাশ করেছিলেন ‘আহ্বান’, হাতের লেখা এক পত্রিকা। ঐ সময়কালেই ‘মাসিক মুকুল’ নামে আরো একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন তাঁর গ্রাম থেকে। আই.এ পড়ার সময় আলাপ হয় নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দুজনে মিলে প্রকাশ করেন ‘জয়যাত্রা’ নামে একটি পত্রিকা। ‘অভিসার’ নামে আর একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন কয়েকজন বন্ধু মিলে। পত্রিকার ঝোঁকেই পরবর্তীতে কাজ করেন ‘স্বরাজ’, ‘সত্যযুগ’ সহ ‘আনন্দবাজার’ পত্রিকায়। এক সময় তিনি আনন্দবাজারের সহ সম্পাদক হিসেবেও নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে ‘দেশ’ পত্রিকার মধ্য দিয়ে তাঁর সাহিত্যজীবনের প্রতিষ্টা ঘটে।

সাহিত্য জীবন

নরেন্দ্রনাথ মিত্র বাংলা সাহিত্য জগতে প্রবেশ করেন একটি কবিতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে। ‘মূক’ নামে ঐ কবিতাটি ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্যের সঙ্গে একত্রে ‘জোনাকি’ নামে একটি কাব্যগ্রন্থেরও প্রকাশ করেন। তবে তাঁর কৃতিত্ব ধরা আছে কথাসাহিত্যের জগতে।

উপন্যাস পর্যালোচনা

নরেন্দ্রনাথের প্রথম উপন্যাস প্রকাশ পায় ‘দেশ’ পত্রিকার পৃষ্ঠাতেই। সময়টা ১৯৪২ – ‘৪৩ খ্রিষ্টাব্দ। ‘দেশ’ -এর পাতায় প্রকাশ পায় তাঁর লেখা ‘হরিবংশ’ উপন্যাসটি, ধারাবাহিকভাবে। পরবর্তীকালে এই রচনাটিই ‘দ্বীপপুঞ্জ’ (১৯৪৭) নামে প্রকাশিত হয়। মূলত বাংলা সাহিত্যের অন্য এক খ্যাতনামা সাহিত্যিক সন্তোষকুমার ঘোষের উৎসাহে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা ‘হরিবংশ’ ‘দ্বীপপুঞ্জ’ নামে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটি নরেন্দ্রনাথ সন্তোষকুমারকেই উৎসর্গ করেন। নরেন্দ্রনাথের এই উপন্যাসে আছে তাঁর বাল্যকালের গ্রামের কথা, কীর্তনীয়ার কথা – যার প্রভাব তাঁর পরিবার থেকে এসেছে। উপন্যাসে তাঁর সদরদি গ্রামের নানা সম্প্রদায়ের মানুষ, নানা পালা পার্বণের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। চরিত্রগুলিকেও লেখক বাস্তব সম্মতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

‘চেনামহল’ (১৯৫৩) উপন্যাসটি লেখকের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় উপন্যাস। গ্রন্থাকারে প্রকাশের পূর্বে রচনাটি ‘দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। সময়কাল ১৯৫১ – ‘৫২ খ্রিঃ। সম্পূর্ণ গার্হস্থ্য জীবনের কাহিনীকথা আছে এই উপন্যাসে। একটি একান্নবর্তী পরিবার এবং তার ক্রমশ ভেঙে যাওয়ার ছবি এই উপন্যাসে। উপন্যাসের সূচনাতেই স্বাধীনতা পরবর্তী একটি একান্নবর্তী পরিবারের কথা আছে। উপন্যাসটি উৎসর্গ করা হয়েছে সত্যেন্দ্রনাথ রায়কে।

‘গোধূলি’ (১৯৫০) বিবাহিতা নারীর পরপুরুষের প্রতি আসক্তি ও প্রেমকে কেন্দ্র করে রচিত এই উপন্যাস। তাঁর ‘দেহমন’ (১৯৫২) ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী এই উপন্যাসে পাওয়া যায়। ‘দূরভাষিনী’ (১৯৫২) উপন্যাসে দূরভাষের মহিলা কর্মীদের জীবন, তাদের চাকুরিগত নানা সমস্যা, আন্দোলন, তাদের দারিদ্র্যকে তুলে ধরেছেন ঔপন্যাসিক। উপন্যাসটি শান্তিরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় ও নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। নরেন্দ্রনাথের ‘সঙ্গিনী’ (১৯৫৩) উপন্যাসের কেন্দ্রে আছে একটি ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী। দাম্পত্য জীবনের নানা সংঘাত, কলহ, ভুল বোঝাবুঝি তথা চরিত্রের হৃদয় দ্বন্দ্ব আছে এই উপন্যাসে।

‘অনুরাগিনী’ (১৯৫৫) উপন্যাসের কাহিনীতে আছে দুটি নারী আর একটি পুরুষের কথা। উপন্যাসটি শ্রীমতী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করা হয়েছে। ‘সহৃদয়া’ (১৯৫৬) উপন্যাসের পটভূমিতে আছে বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন। চরিত্রের ব্যক্তিজীবনের কথার পাশাপাশি আছে রাজনীতির কথাও। উপন্যাসটি উৎসর্গ করা হয়েছে শ্রী নরেন্দ্রনাথ গুহকে। ‘সূর্যসাক্ষী’ (১৯৬৫) উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রকাশের পূর্বে ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ – ‘৬৫ খ্রিঃ। পরে ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দেই আনন্দ পাব্লিশার্স থেকে উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছে সাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়কে। ‘তিন দিন তিন রাত্রি’ উপন্যাসটি উৎসর্গ করা হয়েছে সত্যেন্দ্রনাথ রায়কে। লেখক তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে তাঁর চেনা জগতের কিছু মানুষের জীবনের সুখ দুঃখের কথা বলেছেন এই উপন্যাসে। চরিত্রের মনের জটিলতাসৃষ্টি এবং তার উন্মোচন করেছে ঔপন্যাসিক এই উপন্যাসে।

ছোটগল্প – পর্যালোচনা

লেখকের প্রথম মুদ্রিত গল্প ‘মৃত্যু ও জীবন’ ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তাঁর পরিচিত ‘অসমতল’ (১৩৫২ বঙ্গাব্দ) ছোটগল্পগ্রন্থটিতে মোট বারোটি গল্প আছে। গল্পগুলি হল ‘নেতা’, ‘চোর’, ‘চোরাবালি’, ‘লালবানু’, ‘মদনভষ্ম’, ‘রসাভাস’, ‘স্পর্শ’, ‘আবরণ’, ‘সত্যাসত্য’, ‘রূপান্তর’, ‘পুনশ্চ’, এবং ‘ফেরিওয়ালা’। গ্রন্থটি ধীরেন্দ্রনাথ মিত্র ও হেমেন্দ্রনাথ মিত্রকে উৎসর্গ করা হয়েছে। তাঁর ‘হলদেবাড়ি’ (১৩৫২ বঙ্গাব্দ) ছোটগল্পগ্রন্থটিতে মোট গল্প আছে এগারোটি। গল্পগুলি হল ‘যৌথ’, ‘শম্বুক’, ‘যযাতি’, ‘স্বখাত’, ‘রোগ’, ‘মহাশ্বেতা’, ‘কুমারী শুক্লা’, ‘পুনরুক্তি’, ‘হলদে বাড়ি’, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ এবং ‘মালঞ্চ’। গ্রন্থটি সাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করা হয়েছে।

তাঁর ‘পতাকা’ (১৩৫৪ বঙ্গাব্দ) ছোটগল্পগ্রন্থে মোট গল্পের সংখ্যা চার। গল্পগুলি হল ‘ক্রৌঞ্চমিথুন’, ‘নাম’, ‘ঘুষ’ এবং ‘পতাকা’। ‘চড়াই উৎরাই’ (১৩৫৬ বঙ্গাব্দ) ছোটগল্পগ্রন্থটিতে মোট গল্প আছে ছয়টি। গল্পগুলি হল ‘রস’, ‘অবতরণিকা’, ‘জৈব’, ‘হেডমাষ্টার’, ‘হেডমিস্ট্রেস’ এবং ‘চড়াই-উৎরাই’।

নরেন্দ্রনাথ মিত্রের অন্যান্য ছোটগল্প গ্রন্থগুলি হল – উল্টোরথ (১৩৫৩ বঙ্গাব্দ), কাঠগোলাপ (১৩৬০), অসবর্ণা (১৩৬১), ধূপকাঠি (১৩৬১), মিশ্ররাগ (১৩৬৪), উত্তরণ (১৩৬৫) ইত্যাদি। সব মিলিয়ে তাঁর গল্পের সংখ্যা চারশো।

চলচ্চিত্রায়ন

নরেন্দ্রনাথের কিছু রচনা চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তাঁর ‘মহানগর’ সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় চলচ্চিত্ররূপ পায়। ‘রস’ গল্পটি হিন্দিতে ‘সওদাগর’ নামে রূপায়িত হয়েছিল। মঞ্চস্থ হয়েছে তাঁর ‘দূরভাষিণী’।

মূল্যায়ন

নরেন্দ্রনাথ মিত্র বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজের, একান্নবর্তী পরিবারের চিত্রকে অতি বাস্তব সম্মতভাবে তাঁর গল্প উপন্যাসে তুলে ধরেছেন। গ্রামজীবনের বিচিত্র মানুষের জীবনকথা, মানুষের গোষ্ঠীজীবন সুন্দরভাবে রূপায়িত হয়েছে তাঁর লেখনীতে। তাঁর রচনায় তথাকথিত কোনো চমক নেই, আছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিচিত জগতের নতুন রূপ। বলা বাহুল্য, “তাঁর গল্প ও উপন্যাস স্বাধীনতা পরবর্তী দুই দশক ধরে পাঠককে আলোড়িত করেছিল।” (ড. অরুণকুমার মুখোপাধ্যায়)

এই কথাসাহিত্যিক সম্বন্ধে কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী লিখেছেন –

        “তাঁর লেখায় যেমন কোনও জনতোষিণী প্রতিশ্রুতি নেই, তেমনি কোনও কিম্ভূত কষ্টকল্পনাও নেই।”

বিমল কর লিখেছিলেন, –

        “যে নরেন্দ্রনাথকে আজ পাঠক নম্র মনেই গ্রহণ করে সেই নরেন্দ্রনাথ আজ থেকে তিরিশ বছর আগে যে কী প্রবল উত্তেজনা সঞ্চার করেছিলেন, সাহিত্যে তার খবর নবীন পাঠকেরা জানেন না।”

নরেন্দ্রনাথের বন্ধু সত্যেন্দ্রনাথের মূল্যায়ন –

        “নরেন্দ্রনাথ চেনা জগতেরই, চেনা ভালোবাসারই লেখক।”

পুরষ্কার

সাহিত্যসেবার জন্য নরেন্দ্রনাথ মিত্র ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে আনন্দ পুরষ্কারে সম্মানিত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *