পাঁচমিশালী

বাংলা গান এর কয়েক জন বিখ্যাত শিল্পী

প্রথম বাংলা সবাক ছবি “জামাইষষ্ঠী”(১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দ) তে গান ছিল না। ম্যাডান থিয়েটারের দ্বিতীয় ছবি “জোর বরাত”-এ কাননদেবী, সরযুবালা, হীরেন বসু ও ধীরেন দাসের কণ্ঠে প্রথম বাংলায় সিনেমায় বাংলা গান এর প্রচলন হয়।

১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে “ভাগ্যচক্র” ছবিতে প্রথম নেপথ্য বা প্লে ব্যাক পদ্ধতি চালু হয়।

শচীন দেববর্মনঃ “সুদূরের প্রিয়ে” (১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দ) ছবিতে সংগীত নির্দেশনার মধ্য তাঁর চলচ্চিত্রের জগতে প্রবেশ ঘটে।

হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ঃ শৈলেশ দত্তগুপ্তের তত্ত্বাবধানে ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা বেসিক ডিস্কের গানে তাঁর আত্মপ্রকাশ। বাংলা ছবির জগতে ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে “নিমাই সন্ন্যাস” ছায়াছবিতে নেপথ্য শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায় গাওয়া শুরু করেন।

মান্না দেঃ (প্রবোধচন্দ্র দে)—– ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে “তামান্না” ছবিতে সুরাইয়ার সঙ্গে গাওয়া “জাগো, আয়ি উষা” গানটির মধ্যে তাঁর নেপথ্য শিল্পী হিসাবে আত্মপ্রকাশ ঘটে।

সলিল চৌধুরীঃ ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে “পরিবর্তন” ছবির সংগীত পরিচালক রূপে চলচ্চিত্র জগতে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে “দো বিঘা জমিন” ছবির সূত্রে হিন্দী ছায়াছবির জগতে প্রবেশ করেন।

শ্যামল মিত্রঃ ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে “সুনন্দার বিয়ে” ছবিতে নেপথ্য শিল্পী তাঁর আত্মপ্রকাশ।  ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে সুধীরলাল চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর গাওয়া “স্মৃতি তুমি বেদনার” গানটি তাঁকে খ্যাতির তুঙ্গে তুলে দেয়।

কিশোর কুমারঃ (আভাসকুমার গঙ্গোপাধ্যায়)—- “বম্বে টকিজ” এর একজন কোরাস গায়ক হিসাবে কিশোর কুমার সংগীত জগতে পা রাখেন। ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে “শিকারী” ছবির মাধ্যমে অভিনেতা হিসাবে তাঁর আত্মপ্রকাশ। ১৯৪৮ খ্রি: হেমচাঁদ প্রকাশের সংগীত নির্দেশনায় “জিদ্দি” ছবিতে নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসাবে কিশোর কুমার আত্মপ্রকাশ করেন।

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ঃ ১৭ বছর বয়সে রাইচাঁদ বড়ালের সংগীত নির্দেশনায় “অঞ্জনগড়” ছবিতে নেপথ্য কন্ঠশিল্পী হিসাবে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আত্মপ্রকাশ করেন।

আরতি মুখোপাধ্যায়ঃ ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে হিন্দী ছবি “সাহারা”-য় প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন। বাংলা ছায়াছবির জগতে “কন্যা” ছবির সুবাদে ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর পথম পদার্পণ।

সত্যজিৎ রায়ঃ ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে সংগীত বহুল “গুপী গাইন বাঘা বাইন”-এ গীতিকার সত্যজিতের আত্মপ্রকাশ।

হৈমন্তী শুক্লাঃ ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে “এ তো কান্না নয় আমার” গানটির রেকর্ডিং -এর মাধ্যমে বাংলা গানের জগতে পা রাখেন।

ব্যান্ডের গানঃ ১৯৭৬ খ্রি: গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করা “মহীনের ঘোড়াগুলি” বাংলা তথা প্রথম প্রাদেশিক ভাষার ব্যান্ড হিসাবে স্বীকৃত।

আলোচক – শুভাশিষ ঘোষ, অ্যাডমিন, টার্গেট এসএসসি বাংলা।