বৈষ্ণব পদাবলি

শাব্দিক কবি গোবিন্দদাস

গোবিন্দদাস কবিরাজ  বাংলা পদাবলি সাহিত্যে চৈতন্য-পরবর্তী বৈষ্ণব কবিদের মধ্যে অন্যতম। তিনি বিখ্যাত তাঁর অভিসারের পদগুলির জন্য। কিন্তু শুধু অভিসার নয়, অন্যান্য পদেও আছে তাঁর কৃতিত্ব। এই আলোচনায় শাব্দিক কবি গোবিন্দদাস সম্পর্কে নানা তথ্য পাবেন পাঠক।

সাধারণ পরিচয়

বাংলা পদাবলি সাহিত্যে চৈতন্য পরবর্তী বৈষ্ণব কবিদের মধ্যে গোবিন্দদাস কবিরাজ মুখ্যভাবে স্মরণীয়। তিনি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের এক ভাস্বর প্রতিভা। রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদ রচনায় তিনি তার পূর্ববর্তী কবিকুলকে অনুসরণ করেছেন। মূলত ব্রজবুলি ভাষাতেই তিনি অধিকাংশ পদ রচনা করেন। তাঁর অসাধারণ লেখনী দক্ষতা, অলংকার ব্যবহারে নিপুনতা, শব্দপ্রয়োগে কুশলতা তাকে পদাবলীকার রূপে এক অন্য মর্যাদায় উন্নীত করেছে।

গোবিন্দদাস ছিলেন জ্ঞানদাসের সমসাময়িক। খেতুরীর মহোৎসবে তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়। পদাবলিকার গোবিন্দদাস কবিরাজ আনুমানিক খ্রিষ্টীয় ষোড়শ শতকের চতুর্থ দশকে (১৪৫৯ শক অর্থাৎ ১৫৩৭ খ্রিঃ) শ্রীখণ্ডে জন্মগ্রহণ করেন। কবির পিতা হলেন চিরঞ্জীব, মাতা সুনন্দা। বিশিষ্ট সংস্কৃত কবি বৈষ্ণব শ্রেষ্ঠ রামচন্দ্র ছিলেন তার অগ্রজ। কবির মাতামহ ছিলেন “সঙ্গীত দামোদর” গ্রন্থের শ্রষ্ঠা দামোদর সেন। গোবিন্দদাস পরবর্তীতে শ্রীনিবাস আচার্যের শিষ্যত্ব গ্রহণ করে বৈষ্ণব হন। গোবিন্দদাস খেতুরীর মহোৎসবে বৃন্দাবনের গোস্বামীদের দ্বারা ‘কবিরাজ’ উপাধিতে ভূষিত হন। কবি ১৫৩৫ শকে অর্থাৎ ১৬১৩ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ লোকান্তরিত হন।

শিল্পকলা

রাধাকৃষ্ণের লীলা আস্বাদন ও শিল্প রূপায়নে জ্ঞানদাসকে যেমন চণ্ডীদাসের ভাবশিষ্য বলে অনুমান করা হয় তেমনি গোবিন্দদাস কবিরাজ কেও বিলাস-কলা-সমুচ্ছল, উজ্জ্বল রসায়িত প্রেমচাতুর্যের কবি বিদ্যাপতির ভাবশিষ্য বলে মনে করা হয়। এ সম্বন্ধে কবি বল্লভদাসের মন্তব্য উল্লেখযোগ্য –

“ব্রজের মধুর লীলা
যা শুনি দরবে শিলা
গাইলেন কবি বিদ্যাপতি
তাহা হৈতে নহে ন্যূন
গোবিন্দের কবিত্বগুণ
গোবিন্দ দ্বিতীয় বিদ্যাপতি।”

রাধামোহন ঠাকুর তাঁর “পদামৃতসমুদ্র”-এর মঙ্গলাচরণে যে সাতজন শ্রেষ্ঠ বৈষ্ণব কবি রূপে বন্দনা করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন গোবিন্দদাস। গোবিন্দদাস চৈতন্যদেবের সান্নিধ্য লাভ করেননি। তিনি বারবার নানা কথার প্রসঙ্গে তা উল্লেখও করেছেন – “গোবিন্দদাস রহুঁ দূর”। চৈতন্য জীবনের সাধনা যখন বৃন্দাবনের গোস্বামীদের দ্বারা বিচার-বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যার মধ্য দিয়ে ব্যপ্তি লাভ করলো গোবিন্দদাসের কবিপ্রতিভার স্ফূরণ ঘটল সেখান থেকেই।

গোবিন্দদাস তাঁর সমগ্র কাব্যজীবনে অনেক ধরনের পদ রচনা করেন। তবে তার রচিত পদগুলির মধ্যে রাধাকৃষ্ণ লীলা বিষয়ক পদগুলিই অধিক শিল্পসাফল্য লাভ করেছে। রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদ ছাড়াও কিছু অষ্টকালীয় লীলাকীর্তনের পদ তিনি রচনা করেন।

গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদে কবি

গোবিন্দদাস গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদ রচনাতেও অসামান্য কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদ রচনাতে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ কবি। গৌরাঙ্গকে তিনি সচক্ষে কখনো দেখেননি। গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদগুলিতে তার কাব্যিক সৌন্দর্যময়তা পরিলক্ষিত হয়। তাঁর –

“নীরদ নয়নে / নীর ঘন সিঞ্চনে / পুলক-মুকুল-অবলম্ব।
স্বেদ-মকরন্দ / বিন্দু বিন্দু চুয়ত / বিকশিত ভাব-কদম্ব।।”

পদে চৈতন্যদেবের ঐতিহাসিক রূপটিই পরিস্ফূট হয়েছে। ‘নীরদ’ অর্থাৎ জলবর্ষী মেঘের মতো গৌরাঙ্গের নয়ন থেকে অবিরল জল গৌরাঙ্গ রূপী পুষ্প-বৃক্ষে সিঞ্চিত হচ্ছে। রাধাভাবিত চৈতন্যদেবের নয়নে মেঘরূপী কৃষ্ণ বিরাজ করছেন, আর সেই নীল নীরদ হতে অবিরত প্রেমবারি সিঞ্চিত হয়ে চৈতন্যদেবকে পুলকে কণ্টকিত করছে। এই পদেই আমরা দেখি নটবর কিশোর গৌরাঙ্গকে ভাগরথীর তীর উজ্জ্বলকারী “অভিনব হেম কল্পতরু” বলে অভিহিত করেছেন।

আবার গোবিন্দদাসের –

“চম্পক শোন / কুসুম কনকাচল / জিতল গৌর-তনু-লাবণি রে।
উন্নত গীম / সীম নাহি অনুভব / জগ- মনোমোহন ভাঙনি রে।।”

পদে গৌরাঙ্গের দিব্যকান্তি ও ভাবোন্নত অবস্থা রূপায়িত হয়েছে । গৌরাঙ্গের অঙ্গশোভা চম্পক, শণের ফুল ও সোনার পর্বতকেও যেন জয় করেছে। “জয় শচীনন্দন রে” শীর্ষক পদটিতে কবি অনন্ত বিশ্বের অলংকার স্বরূপ শ্রীগৌরাঙ্গের মহিমা বর্ণনা করেছেন। এই ভাবেই গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদে তিনি গৌরাঙ্গের ভাবতন্ময়তা, তার দিব্যরূপ, তার প্রেমধর্মের এক সামগ্রিক রূপকে তুলে ধরেছেন।

গোবিন্দদাসের “নন্দ নন্দন চন্দ চন্দন” পদে কৃষ্ণের অপূর্ব রূপমাধুর্যের বর্ণনা দিয়েছেন। কৃষ্ণের দেহের লাবণ্য সৌরভ, চন্দ্র এবং চন্দনকেও অতিক্রম করে গেছে। “শ্যাম সুধাকর ভুবন মনোহর” পদে রমণীমোহন কৃষ্ণের রূপ কবি দেখিয়েছেন। শুধুমাত্র ব্রজবুলি ভাষা নয় সহজ সরল বাংলাতেও তিনি পদ রচনা করেছেন।

পূর্বরাগ পর্যায়ের পদে কবি

গোবিন্দদাস তাঁর কৃতিত্ত্বের পরিচয় রেখেছেন।শ্রীরাধা এবং শ্রীকৃষ্ণ উভয়েরই পূর্বরাগের পদ তিনি রচনা করেছেন। “ঢল ঢল কাঁচা অঙ্গের লাবণি” শীর্ষক পদে শ্রীরাধার অনুরাগের প্রকাশ পেয়েছে।কৃষ্ণের লাবণ্যের জোয়ারে রাধার পৃথিবী প্লাবিত হয়। শ্রীরূপ গোস্বামী পূর্বরাগেও নায়ক – নায়িকার দশটি দশার কথা বলেছেন। এই পদে কৃষ্ণ রূপ দর্শনে ব্যাকুল রাধার লালসা, উদ্বেগ, ব্যাধিগ্রস্ততা, উন্মাদ এবং মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ পেয়েছে । “রূপে ভরল দিঠি” পদে দেখি রাধার কৃষ্ণানুরাগ প্রকাশ ঘটেছে। রাধার স্পর্শেন্দ্রিয়, শ্রবণেন্দ্রিয় সবই যেন কৃষ্ণময়। কৃষ্ণের পূর্বরাগের ছবি দেখতে পাই কবির “যাঁহা যাঁহা নিকশয়ে তনু তনু জ্যোতি” পদে।কৃষ্ণ রাধার দেহের জ্যোতিতে বিদ্যুৎ এর ঝলক উপলব্ধি করেছেন। রাধার চঞ্চল ভ্রু ভঙ্গিতে কৃষ্ণ যমুনা তরঙ্গের সৌন্দর্যকে প্রত্যক্ষ করেছেন।

অভিসারর্যায়ের পদে কবি 

গোবিন্দদাসের লেখা অভিসার পর্যায়ের পদ বিদ্যাপতির অভিসার পদকে অনেক স্থানে ছাপিয়ে গেছে। এই পর্যায়ে তিনি অবিসংবাদী শ্রেষ্ঠ কবি। গোবিন্দদাসের পদে অভিসারের যে প্রকার ও প্রকরণ রয়েছে তাকে মেনে চলার চেষ্টা করেছেন। গোবিন্দদাসের রাধা অভিসারে কোনো দিন-ক্ষণকে বেছে নেয়নি, প্রাণের আবেককে মান্যতা দিয়েছে। তাঁর রাধা রূপে-রসে-প্রসাধনে অনন্যা। শুধু শীত বা গ্রীষ্ম নয় রাধাকে বর্ষা রজনীতেও অভিসারে বের হতে হয়। অভিসারের এই কষ্টসাধ্য, বিপদ সঙ্কুল পদকে তৈরী করার পূর্বপ্রস্তুতি শুরু হয়েছে অনেক আগেই। তাই গোবিন্দদাস তার রাধাকে অভিসারের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলেন এই পদে –

“কন্টক গাড়ী / কমল সম পদতল / মঞ্জীর চীরহি ঝাঁপি।”

সেখানে রাধার অভিসার যাত্রার প্রস্তুতি সূচিত হয়। রাধা পায়ের নুপুরে কাপড় বেঁধে, কলসের জল ঢেলে প্রাঙ্গণ পিচ্ছিল করে, পায়ের আঙুল টিপে টিপে দুর্গম পথে চলা অভ্যাস করে। হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করে নেয় রাধা, কারণ তার অভিসারের পথ অন্ধকারময়। সমগ্র পদটিতে শব্দ চয়নের নৈপুণ্য ও ছন্দের হিল্লোলে অভিসার প্রস্তুতি অন্য মাত্রা লাভ করে।

অভিসারের বৈশিষ্ট্য

গোবিন্দদাসের অভিসার পর্যায়ের পরবর্তী পদে আমরা রাধাকে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে দেখি। তাঁর – “মন্দির বাহির কঠিন কপাট। / চলইতে শঙ্কিল পঙ্কিল বাট।।” পদে সখি রাধাকে সাবধান করে দিতে যান আসন্ন পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে। এই পদটি রাধার বর্ষাভিসারের পদ।

এই পদে কৃষ্ণের সংকেত স্থানে যাবার উদ্দেশ্যে রাধার ব্যাকুলতা একদিকে, অন্যদিকে রাধার সামনে কঠিন পরিস্থিতির এক দ্বন্দ্বময়তা প্রকাশ পেয়েছে। কর্দমাক্ত কঠিন পথ অত্যান্ত দুর্গম, তার উপর বৃষ্টির অবিশ্রাম বারিধারা, ঘন ঘন বজ্রের কড় কড় ধ্বনি যেন তাকে আরও বেশি দুর্গম করে তুলেছে। রাধার অভিসার প্রেম তপস্যা। সেই তপস্যার পথ নানা বিঘ্ন, বাধা, বিপদে পরিপূর্ণ তারই পরিচয় এই পদে দেখতে পাওয়া যায়। রাধার কাছে আর কোনো বাধাই তার যাত্রাপথে ব্যাঘাত ঘটালো না, রাধা নিজেই কুলমর্যাদার কপাট উদ্ঘা‌টিত করেছেন। সখির করা প্রশ্নের প্রত্যুত্তরে রাধার উক্তি – “কুল মরিয়াদ/ কবাট উদঘাটলুঁ / তাহে কি কাঠকি বাধা।” অর্থাৎ রাধা প্রস্তুত সমস্ত প্রকার বাধাকে অতিক্রম করতে।

এই পদটি গোবিন্দদাসের অভিসার পর্যায়ের একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ পদ। রাধা অভিসারে উত্তীর্ণ হয়ে কৃষ্ণের সম্মুখে এসে উপস্থিত হয়ে দুর্গম অভিসার যাত্রার বর্ণনা করেন। রাধা বলেন – “মাধব কি কহব দৈব বিপাক/ পথ আগমন কথা / কত না কহিব হে / যদি হয় মুখ লাখে লাখ।” তিনি পথে বের হয়ে ভীত হন। পথ চেনাও কষ্ট কর হয়ে ওঠে। তিনি বলেন – “একে কুল কামিনী / তাহে কুহু যামিনী / ঘোর গহন অতি দূর।”

অভিসার পদে মুগ্ধতা

অধ্যাপক শঙ্করীপ্রসাদ বসু উক্ত পদটিকে “অভিসারোদগার” পদ হিসাবে উল্লেখ করেন । শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে যে কৃষ্ণের লম্পট বিবেকহীন নির্লজ্জ রূপ দেখতে পাওয়া যায় সেই কৃষ্ণ গোবিন্দদাসের গৌড়ীয় বৈষ্ণব তত্ত্বের মধ্যে এসে অন্য রূপে চিত্রিত হয়েছেন। যে কৃষ্ণকে রাধার প্রেম নিবেদনকে অশ্লীল ভাষায় ব্যঙ্গে পরিণত করতে দেখি সেই কৃষ্ণই রাধার আত্মগৌরব ঘোষণাকে যথার্থ মূল্য দিয়েছেন।

“আদরে আগুসরি / রাই হৃদয়ে ধরি/ জানু উপরে পুন রাখি।
নিজ কর-কমলে / চরণ-যুগ মোছই / হেরইতে চির থির আঁখি।।”

পদে রাধার অভিসার যাত্রার সমাপ্তিতে প্রেমময় কৃষ্ণ রাধাকে কীভাবে স্বাগত জানালেন তারই পরিচয় পাওয়া যায়। রাধাকে সাদরে আলিঙ্গন করলেন, কৃষ্ণ তার জানুর উপর রাধাকে বসিয়ে পদ্মের মতো দুটি হাত দিয়ে রাধার অভিসার ক্লান্ত দুটি পা মুছে দিলেন। এক অপরূপ প্রেমময়তার ছবি এখানে ফুটে উঠেছে। রাধার কৃচ্ছ্রসাধন কীভাবে কৃষ্ণের স্বীকৃতিতে ধন্য হয়ে উঠেছে তাই এখানে মুখ্য হয়েছে।

উৎকন্ঠিতা পর্যায়

এই পর্যায়ে নায়িকার যে ব্যক্তিত্ব, তার অপমানবোধ বৈষ্ণব কবিদের কাছে সব সময়ই পদ রচনার একটি অন্যতম জায়গা হিসাবে পরিচিত। সেই উৎকন্ঠিতা পর্যায়ের পদেও গোবিন্দদাস কিছু পদ রচনা করেন। অভিসারের পর গোবিন্দদাস রাসের পদেও কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। রাস পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ পদকার গোবিন্দদাস। রাসলীলার আধ্যাত্মিক ব্যঞ্জনাও অতি গভীর। মাথুর পর্যায়ের পদেও গোবিন্দদাস কৃতিত্বের পরিচয় দিলেও তা বিদ্যাপতির মাথুর পর্যায়ের পদকে অতিক্রম করতে পারেনি। “নামহি অক্রূর ক্রূর নাহি যা সম” পদটি গোবিন্দদাসের মাথুর পর্যায়ের একটি অন্যতম পদ। যেখানে বিরহের বীজ গাথা হয়েছে। আবার তার “যাহা পঁহু অরুণ চরণে চলি যাত” পদে বিরহের আভাস প্রতিভাত হয়েছে।

মূল্যায়ন

পরিশেষ বলা যায়, গোবিন্দদাস চৈতন্যপরবর্তী পদাবলি সাহিত্যের কবিদের মধ্যে একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। রাধাকৃষ্ণের কাহিনিকে তিনি তার অসাধারণ লেখনি ক্ষমতা, ছন্দের অপূর্ব মাধুর্য, শব্দ প্রয়োগের নিপুণতার মধ্য দিয়ে প্রকাশ করেছেন। গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদ রচনা এবং অভিসার পর্যায়ের পদ রচনায় তিনি বৈষ্ণব পদাবলিকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যান। তাঁর পদাবলিতে চৈতন্যপূর্ববর্তী কবি বিদ্যাপতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। তাই তিনি বাংলা সাহিত্যে “দ্বিতীয় বিদ্যাপতি” নামে পরিচিত হন।

তথ্যসূত্রঃ-

ক) বাংলা সাহিত্যের ইতিকথা ( ১ম পর্যায়) – শ্রী ভূদেব চৌধুরী
খ) বাংলা সাহিত্যের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত – ড.অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
গ) বাঙালা সাহিত্যের ইতিহাস – সুকুমার সেন
ঘ) বৈষ্ণব পদাবলী – ড.সত্য গিরি
ঙ) আদি-মধ্য বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস –  তপন কুমার চট্টোপাধ্যায়
চ) মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের তথ্য ও কালক্রম –  সুখময় মুখোপাধ্যায়
ছ) গোবিন্দদাসের পদাবলি – বসুমতী
জ) সাহিত্য টীকা

আলোচক – সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *