অন্যান্য সাহিত্যিক

অমিয় চক্রবর্তী – কবি, গীতিকার, সুরকার ও শিক্ষাবিদ

অমিয় চক্রবর্তী শুধুমাত্র একজন কবি নন, তাঁর চরিত্রে নিহিত ছিল আরো নানা সত্তা। তাঁকে আমরা এক সাথে গীতিকার, সুরকার এবং শিক্ষাবিদ হিসেবে পাই।দেশ বিদেশের বহু স্থানে তিনি ভ্রমণ করেছেন। দেশের বাইরে অনেক স্থানেই তিনি ভারতীয় ধর্ম ও সাহিত্য নিয়ে নানা বকৃতা দিয়েছেন। এককথায় তাঁর অন্যান্য সত্তার পাশাপাশি পরিব্রাজক অমিয় চক্রবর্তীকেও আমরা পাব এই আলোচনায়।

কবির বিদেশ যাত্রা প্রসঙ্গ

কবি অমিয় চক্রবর্তী (জন্মঃ- ১০ এপ্রিল, ১৯০১ – মৃত্যুঃ- ১২ জুন, ১৯৮৬) ছিলেন একজন বিশ্ব নাগরিক। পৃথিবীর নানা দেশে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন। কখনো জীবিকার তাগিদে, কখনো-বা নিছক পরিব্রাজক হিসেবে। ভ্রমণে আমৃত্যু ছিলেন অক্লান্ত। তাঁর বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র-ভক্ত এণ্ড্রুজের বন্ধু আলেকজাণ্ডার। তিনি অমিয় চক্রবর্তী কে বিলেতের বার্মিংহামের কলেজে আমন্ত্রণণ জানালেন। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে সেই কবির প্রথম বিদেশ যাত্রা। সেখানে প্রায় এক বৎসর ধরে ভারতবর্ষ ও আন্তর্জাতিকতা এবং ধর্ম বিষয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ হলো।

পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি অধ্যয়ন ও গবেষণা করেছেন। অক্সফোর্ডের ব্রেজনোস্‌ কলেজে সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন ১৯৩৭ থেকে ১৯৪০ সাল অবধি। এ-সময় ব্যাপক ভাবে ভারতবর্ষ-ইরান-আফগানিস্থান সফর করেছেন আধুনিক কালে ধর্ম আন্দোলন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্যে।রবীন্দ্রনাথের সহকারীরূপেও অনেক দেশে গিয়েছেন অমিয় চক্রবর্তী। প্রকৃতপক্ষে বিশ্ব-পরিব্রাজক রবীন্দ্রনাথের চেয়েও অনেক বেশী ভ্রমণ করেছেন তিনি। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে জার্মানি, ডেনমার্ক, রাশিয়া এবং আমেরিকা ভ্রমণ করেছেন রবীন্দ্রনাথের সহযাত্রী হিসেবে। পরে আরো দু’বার রাশিয়া ভ্রমণ করেছেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে পারস্য ও মধ্য-প্রাচ্য ভ্রমণ করেছেন ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে। প্রশান্ত এবং আটলাণ্টিক মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, পূর্ব ও পশ্চিম এশিয়া, দূরপ্রাচ্য, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং জাপান ও কোরিয়া সহ পৃথিবীর নানা দেশ-মহাদেশ বহুবার পরিভ্রমণ করেছেন।

আরো পড়ুন

পৃথিবীর নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন যার মধ্যে রয়েছে আমেরিকার হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, কান্‌সাস বিশ্ববিদ্যালয়, বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়, স্মিথ্‌ কলেজ, ন্যুইয়র্ক স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং ভারতের কলকাতা ও মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। বিভিন্ন দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছেন বক্তৃতা দেওয়ার জন্যে। অ্যালবার্ট আইনস্টাইন এবং রবার্ট ওপেন্‌হাইমারের আমন্ত্রণে ১৯৫১-তে প্রিন্স্‌টন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্‌ষ্টিট্যুট অব অ্যাডভান্স্‌ড স্টাডিস্‌-এর ফেলো হিসেবে ভ্রমণ করেছেন। ঐ ১৯৫১-রই গ্রীষ্মে  পূর্ব ও পশ্চিম বার্লিন প্রোটেস্টাণ্ট চার্চ সম্মেলনে আমন্ত্রিত প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন। এই সময় পশ্চিম ও পূর্ব জর্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতীয় ধর্ম এবং প্রাচ্য সাহিত্য বিষয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন। একাধিকবার সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে গিয়েছেন শিবনারায়ণ রায়ের আমন্ত্রণে। তাঁর মনোহর, অপ্রতীম বক্তৃতায় মুগ্ধ করেছেন মেলবর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের।

এই ভ্রমণের সূত্রে বিশ্বখ্যাত অনেক মণীষীর সঙ্গেই তাঁর ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জাপানে জেন মণীষী সুজুকি-র সঙ্গে গড়ে ওঠে গভীর বন্ধুত্ব। আফ্রিকায় অ্যালবার্ট শোয়াই্‌ট্‌জার এর সঙ্গে তাঁর সেবাকেন্দ্র গাবুন অঞ্চলে লন্বারেনে-তে বাস, ১৯৫৪। ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে কবি বরিস পাস্টেরনাকের সঙ্গে হয় ঘনিষ্ঠ পরিচয়। এছাড়াও কবি ইয়েটস্‌, জর্জ বাণার্ড শ, কবি রবাট ফ্রষ্ট, পাবলো কাসলস্‌ প্রমুখের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে থেকে ভারত ছেড়ে স্থায়ীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অধিবাসী  হয়েছিলেন অমিয় চক্রবর্তী। মার্কিন প্রবাস থেকে দেশের অমোঘ টানে পরপর ১৯৪৯-৫১-৫৪-৫৬-৬০-৬৩-৬৬-৭০-৭২-৭৫-৭৬ খ্রিস্টাব্দে দেশে এসেছেন। মৃত্যুর আগে ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দে আবার ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছেন স্ত্রী হৈমন্তী চক্রবর্তীর বিশেষ প্রেরণায়।

কবিতা

বাংলা কবিতায় আধুনিকতার পথিকৃত পঞ্চপাণ্ডবদের অন্যতম একজন অমিয় চক্রবর্তী । তাঁর প্রথম দিক কার কবিতায়  রবীন্দ্রনাথের প্রভাব থাকলেও তিনি অচিরেই স্বকীয়তা অর্জন করেন। প্রথম দুটি কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতাবলী‘ এবং ‘উপহার‘ প্রকাশের পর ১৯৩৮-এ প্রকাশিত হয় তাঁর তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘খসড়া‘, যার মধ্য দিয়ে তিনি জীবনানন্দ দাশ, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বিষ্ণু দে প্রমুখের সঙ্গে এক পংক্তিতে স্থান দখল করে নেন। এ সময় কবিতা পত্রিকায় বুদ্ধদেব বসু মন্তব্য করেন যে,

“খসড়া প্রকাশের পর অমিয় চক্রবর্তীকে উল্লেখযোগ্য বাঙালি কবিদের অন্যতম বলে মেনে নিতে আমাদের দ্বিধা করা উচিৎ নয়।”

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অমিয় চক্রবর্তীর কবিতার মধ্যে প্রত্যক্ষ করেছিলেন “অনুভূতির বিচিত্র সূক্ষ্ম রহস্য”, বিশ্বসাহিত্যের স্পর্শ। সাহিত্যের ছাত্র ও অধ্যাপক, ধর্মতত্ত্ব-রাজনীতি, দশর্ন শাস্ত্রে সুপণ্ডিত, বিশ্বসাহিত্যের তন্নিষ্ঠ পাঠক অমিয় চক্রবর্তী ছিলেন মননঋদ্ধ মানুষ। তাঁর কবিতায় আবেগের সঙ্গে মিশে গেছে মননশীলতা। তাঁর কবিতায় প্রগাঢ় দার্শনিকতার মধ্যে অন্তর্লীন হয়ে আছে প্রবল সময় ও সমাজ-সচেতনতা। একটি কবিতায় তিনি লিখেছেন:

বাঙলার মেয়ে, এসে ছিল তার জীবনের দাবি নিয়ে,
দুদিনের দাবি ফলন্ত মাঠে, চলন্ত সংসারে;
কতটুকু ঘেরে কত দান ফিরে দিতে।
সামান্য কাজে আশ্চর্য খুশি ভরা।
আজ শহরের পথপাশে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে কোথা
সভ্যতা ছোটে তেরোশো পঞ্চাশিকে।

ছন্দ, শব্দ চয়ন, শব্দ ব্যবহারের ধাঁচ, পংক্তি গঠনের কায়দা সবকিছু মিলিয়ে তিনি ছিলেন বাঙালী কবিদের মধ্যে অনন্যসাধারণ। কঠিন সংস্কৃত শব্দও তাঁর কবিতায় প্রবেশ করেছে অনায়াস অধিকারে। তাঁর কবিতায় জাগ্রত চৈতন্যের সঙ্গে সঙ্গে অবচেতনার প্রক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়।

সঙ্গীত

ছেলেবেলা থেকেই সঙ্গীতে ছিল তাঁর বিশেষ আকর্ষণ। তাঁর শৈশব কেটেছে আসাম-গৌরীপুরে। গৌরীপুরে যাত্রা-নাটক আর জারি-সারি, বাউল-কীর্তনের আসরে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল। অন্যদিকে মামার বাড়ীতে ইয়োরোপীয় সঙ্গীতের সঙ্গে পরিচয় ঘটে। ইয়োরোপীয় ধ্রূপদী সঙ্গীতের সঙ্গে তাঁর এই পরিচয় ছিল অসামান্য। রাশিয়ার ববোডিন, জার্মানির প্রাতিভ, এবং পিয়ানো, ভায়োলিন ও অর্কেষ্ট্রার শ্রেষ্ঠ কম্পোজারদের সঙ্গীতের সঙ্গে-সঙ্গে ভারতীয় মার্গসংগীতের নিত্য শ্রোতা ছিলেন তিনি। তারপর এক সময় গান লিখতে শুরু করেন। আর তাতে কখনো কখনো তিনি নিজেই সুরারোপ করেছেন।

প্রবন্ধ-নিবন্ধ

অমিয় চক্রবর্তী যে সব পত্র-পত্রিকায় কম-বেশী নিয়মিত লিখেছেন তার মধ্যে রয়েছে কবিতা, বিচিত্রা, উত্তরসূরী, কবি ও কবিতা, পরিচয়, প্রবাসী প্রভৃতি। এর মধ্যে এক “কবিতা” পত্রিকাতেই অমিয় চক্রবর্তীর বেশ ক’টি গদ্য রচনা প্রকাশিত হয়েছিল: ‘এজরা পাউণ্ড: কবিতা’র দরবারে পত্রাঘাত’ (পৌষ ১৩৫৫), ‘এলিয়টের নতুন কবিতা’ (পৌষ ১৩৫০), ‘জয়েস প্রাসঙ্গিকী’ (কার্তিক, ১৩৪৮), ‘মার্কিন প্রবাসীর পত্র’ (পৌষ, ১৩৬০), ‘রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টি’ (আশ্বিন, ১৩৪৮), ‘শেষের কবিতা’র লাবণ্য’ (আশ্বিন, ১৩৫৩) এবং ‘সমালোচকের জল্পনা’ (আশ্বিন, ১৩৫০)।, এছাড়া বুদ্ধদেব বসুর “নতুন পাতা” এবং সমর সেনের “গ্রহণ ও অন্যান্য কবিতা” গ্রন্থদ্বয়ের সমালোচনাও প্রকাশিত হয়েছিল (যথাক্রমে পৌষ ১৩৪৭ এবং কার্তিক ১৩৪৭ সংখ্যায়)। “কবিতা” পত্রিকায় চৈত্র ১৩৬২ সংখ্যায় বুদ্ধদেব বসুকে লেখা একটি খোলা চিঠি মুদ্রিত হয়েছিল ‘ছন্দ ও কবিতা’ এই শিরোনামে ।

‘কাব্যাদর্শ’ শীর্ষক প্রবন্ধটি মুদ্রিত হয়েছিল ত্রিকালী পত্রিকায় ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে। ‘দুটি ইংরেজী কবিতা’ প্রকাশিত হয়েছিল পরিচয় পত্রিকায়, বৈশাখ ১৩৪২ সংখ্যায়। ‘প্রমথ চৌধুরী – ক্ষুদ্র অর্ঘ্য’ প্রকাশিত হয়েছিল “বিশ্বভারতী পত্রিকা”-এর শ্রাবণ-আশ্বিন ১৩৭৫ সংখ্যায়। “পারাপার”-এর অন্তর্ভুক্ত ‘বৃষ্টি’ কবিতাটি নিয়ে কবি নরেশ গুহ একটি আলোচনা লেখেন কবিতা-পরিচয় পত্রিকায়, আষাঢ় ১৩৭৩ সংখ্যায়। এই আলোচনার সূত্রে, মনুজেশ মিত্র, প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত এবং সুতপা ভট্টাচার্য সমালোচনা করেন। অমিয় চক্রবর্তী নিজেও এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য প্রকাশ করেন। একই পত্রিকায় পরবর্তীতে প্রকাশিত ঐ লেখাটিতে তিনি লেখেন, “ ‘বৃষ্টি’র আলোচনায় দু-একটি প্রশ্ন আছে, তার উত্তরে কিছু বলতে চাই।”

আরো পড়ুন

দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার জন্য অমিয় চক্রবর্তীর অনেক প্রবন্ধ-নিবন্ধ পত্রাকারে রচিত। এ-প্রকৃতির রচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘মার্কিন প্রবাসীর পত্র’ এবং ‘ছন্দ ও কবিতা’। এ-ছাড়া পত্রাকারে রচিত প্রবন্ধ-নিবন্ধের মধ্যে রয়েছে ‘ইয়োরোপে রবীন্দ্রনাথ’। শ্রীযুক্ত সোমনাথ মিত্রকে লেখা এ প্রবন্ধলিপিটি “প্রবাসী” পত্রিকার কার্তিক ১৩৩৭ সংখ্যায় ছাপা হয়েছিল। “মস্কৌ-এর চিঠি’’ নামে দু’টি প্রবন্ধ ছাপা হয়েছিল বিচিত্রা পত্রিকার বাংলা ১৩৩৮ সনের যথাক্রমে মাঘ ও ফাল্গুন সংখ্যায়। “প্রবাসী” পত্রিকায় আরো তিনটি পত্রাকার প্রবন্ধ-নিবন্ধ ছাপা হয়েছিল। যথা –

(ক) ‘ফিনল্যান্ডের চিঠি’, কার্তিক, ১৩৪৩ সংখ্যায, (খ) ‘প্যালেষ্টাইন প্রাসঙ্গিক’ কার্তিক, ১৩৪৪ সংখ্যায এবং (গ)‘প্যালেষ্টাইনে হেরফের’, অগ্রহায়ণ, ১৩৪৪ সংখ্যা।
এই ধাঁচের লেখাগুলো সম্পর্কে সুমিতা চক্রবর্তীর মন্তব্য এরকম: “ … ভ্রমণমমূলক প্রবন্ধগুলিতে অমিয় চক্রবর্তীর মানসিক গঠনের একটা মৌলিক প্রাথমিক সূত্র পাওয়া যায়।”এ-ছাড়া “বিচিত্রা” পত্রিকার শ্রাবণ, ১৩৩৫ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল ‘সাহিত্য ব্যবসায়’।, একই পত্রিকার শ্রাবণ, ১৩৩৮ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল ‘সংকলন’। স্টেলা ক্রামরিশের লেখা একটি প্রবন্ধ তিনি ইংরেজী থেকে বাংলায় অনুবাদও করেছিলেন। এটি ‘ভারতীয় শিল্প প্রতিভা’ নামে “প্রবাসী”-এর আশ্বিন, ১৩২৯ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। এ-ছাড়াও তিনি ইংরেজীতে বেশ কিছু সংখ্যক সংখ্যক প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা করেছেন। এ-সকল প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক মানের একাডেমিক জার্নাল সহ বিভিন্ন সংকলন-গ্রন্থে প্রকাশিত হয়।

 

প্রকাশিত গ্রন্থাবলী

খসড়া, এক মুঠো, মাটির দেয়াল, অভিজ্ঞান বসন্ত, দূরযানী, পারাপার, পালাবদল, ঘরে ফেরার দিন, হারানো অর্কিড, পুষ্পিত ইমেজ প্রভৃতি কাব্য। তাঁর গদ্য রচনার মধ্যে আছে চলো যাই, সাম্প্রতিক, পুরবাসী, পথ অন্তহীন, অমিয় চক্রবর্তীর প্রবন্ধ সংগ্রহ

সম্মাননা

ইউনেস্কো পুরস্কার (১৯৬০), পদ্মভূষণ (১৯৭০), সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার, দেশিকোত্তম

আলোচক – প্রতাপচন্দ্র সাহা, শিক্ষক, নদীয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *