পাঁচমিশালী

আনন্দ পুরস্কারের খুঁটিনাটি

আনন্দ পুরস্কার  পশ্চিমবঙ্গের আনন্দ প্রকাশনা গ্রুপ কর্তৃক প্রদত্ত একটি বার্ষিক সাহিত্য পুরস্কার। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য আনন্দ প্রকাশনা কর্তৃক এই পুরস্কার  দেওয়া হয়। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দের ২০শে এপ্রিল আনন্দ প্রকাশনা গ্রুপ বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য আনন্দ পুরস্কার  চালু করে। আমাদের এই আলোচনায় আনন্দ পুরস্কার প্রাপকদের নাম ক্রমাণ্বয়ে পরিবেশিত হয়েছে। প্রসঙ্গত জেনে রাখা ভালো ২০২০ থেকে ২০২২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত করোনা অতিমারির কারণে পুরস্কার প্রদান বন্ধ ছিল।

আনন্দ পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা

১৯৫৮ – বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়
১৯৫৯ – সমরেশ বসু
১৯৬০ – প্রমথনাথ বিশী (কেরী সাহেবের মুন্সি)
১৯৬১ – সৈয়দ মুজতবা আলী (দেশে বিদেশে)
১৯৬২ – কালিদাস রায়
১৯৬৩ – সুকুমার সেন (বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস)
১৯৬৪ – জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী (বারো ঘর এক উঠান)
১৯৬৫ – নীরদচন্দ্র চৌধুরী (আত্মঘাতী বাঙালী)
১৯৬৬ – প্রবোধকুমার সান্যাল (মহাস্থবির জাতক)
১৯৬৭ – বিমল কর
১৯৬৮ – গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য
১৯৬৯ – শৈলেশকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
১৯৭০ – গৌরকিশোর ঘোষ (প্রেম নেই)
১৯৭১ – সত্যজিৎ রায়, সন্তোষকুমার ঘোষ (কিনু গোয়ালার গলি)
১৯৭২ – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (সেই সময়)
১৯৭৩ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় (মানব জমিন)
১৯৭৪ – মতি নন্দী (সাদা খাম)
১৯৭৫ – শক্তি চট্টোপাধ্যায় (যেতে পারি কিন্তু কেন যাব)
১৯৭৬ – বুদ্ধদেব গুহ
১৯৭৭ – দিব্যেন্দু পালিত
১৯৭৮ – নিখিল সরকার (শ্রীপান্তের কলকাতা)
১৯৭৯ – সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ (অলীক মানুষ)
১৯৮০ – সুশোভন অধিকারী
১৯৮১ – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় (লোটাকম্বল)
১৯৮২ – সমরেশ মজুমদার (কালবেলা)
১৯৮৩ – অন্নদাশঙ্কর রায় (পথে প্রবাসে)
১৯৮৪ – সুভাষ ভট্টাচার্য, দিব্যেন্দু পালিত, সুকুমার সেন, সাগরময় ঘোষ, বিমল মিত্র (বেগম মেরী বিশ্বাস)
১৯৮৫ – অলোকরঞ্জন দাসগুপ্ত (গিলোটিনে আলপনা)
১৯৮৬ – কেতকী কুশারি ডাইসন
১৯৮৭ – অমলেশ ত্রিপাঠী
১৯৮৮ – আবুল বাশার (ফুলবউ)
১৯৮৯ – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় (প্রথম আলো), অমিতাভ ঘোষ
১৯৯০ – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী (আলেয়া হ্রদ)
১৯৯১ – সুভাষ মুখোপাধ্যায় (একটু পা চালিয়ে ভাই), জয়া মিত্র
১৯৯২ – তাসলিমা নাসরিন
১৯৯৩ – ক্লিটন সীলি
১৯৯৪ – অন্নদাশঙ্কর রায়, শামসুর রহমান, আনিসুজ্জামান, নরেন বিশ্বাস
১৯৯৫ – কাজী নজরুল ইসলাম (বকুল), দেবারতি মিত্র
১৯৯৬ – আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (খোয়াবনামা)
১৯৯৭ – বাণী বসু (মৈত্রেয় জাতক)
১৯৯৮ – জয় গোস্বামী (যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল)
১৯৯৯ – মন্দাক্রান্তা সেন (হৃদয় অবাধ্য মেয়ে)

আরও দেখুন

২০০০ – তাসলিমা নাসরিন (আমার মেয়েবেলা)
২০০১ – গৌরীপ্রসাদ ঘোষ
২০০২ – সুধীর চক্রবর্তী
২০০৩ – তিলোত্তমা মজুমদার
২০০৪ – শ্রীজাত (উড়ন্ত সব জোকার)
২০০৫ – মিহির সেনগুপ্ত
২০০৬ – উৎপলকুমার বসু
২০০৭ – ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী
২০০৮ – হাসান আজিজুল হক
২০০৯ – রনজিৎ গুহ
২০১০ – সুনন্দ শিকদার
২০১১ – গৌতম ভদ্র
২০১২ – পিনাকী ঠাকুর (চুম্বনের ক্ষত)
২০১৩ – রামকুমার মুখোপাধ্যায়
২০১৪ – অরিন্দম চক্রবর্তী
২০১৫ – স্বপ্নময় চক্রবর্তী (হলদে গোলাপ)
২০১৬ – সুধীর দত্ত (তাঁবু মই ও শ্রেষ্ঠ কবিতাগুচ্ছ)
২০১৭ – আনিসুজ্জামান (বিপুলা পৃথিবী)
২০১৮ – সন্তোষ রানা (রাজনীতির এক জীবন)
২০১৯ – নলিনী বেরা (সুবর্ণরেণু সুবর্ণরেখা)
২০২৩ – পূর্ণেন্দুবিকাশ সরকার
২০২৪ – অসীম চট্টোপাধ্যায় (নকশালবাড়ি-নামা)

তথ্যদানে – নীলরতন চট্টোপাধ্যায়, সর্বশেষ আপডেট – ১০.০৮.২০২৪

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *