অন্নদামঙ্গল বা নূতন মঙ্গল কাব্যকাহিনী এবং কবিধর্ম
অন্নদামঙ্গল মধ্যযুগের কাব্য সাহিত্যের একটি বিশিষ্ট ধারা মঙ্গলকাব্য। এই ধারার অন্যতম কাব্য ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্য। যা কবির ভাষায় নূতন মঙ্গল । ভারতচন্দ্র প্রচলিত মঙ্গলকাব্যের কাহিনি ও রীতি বৈশিষ্ট্যকে অবলম্বন করে ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য রচনা করেও যথাসম্ভব অভিনবত্ব প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছেন।
কাব্য পরিচয়
ভারতচন্দ্রের পৃষ্ঠপোষক নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় বাংলায় প্রতিমায় দেবী অন্নপূর্ণার পূজা প্রচলন করেন। তিনিই ভারতচন্দ্রকে রায়গুণাকর উপাধি প্রদান করে দেবীর মাহাত্ম্যব্যঞ্জক একটি কাব্য রচনার অণুরোধ করেন। সমগ্র কাব্যটি তিনটি খণ্ডে বিভক্ত-
১. অন্নদামঙ্গল বা অন্নদামাহাত্ম্য
২. বিদ্যাসুন্দর বা কালিকামঙ্গল ও
৩. মানসিংহ বা অন্নপূর্ণামঙ্গল
মঙ্গলকাব্য ধারায় অন্নদামঙ্গল কাব্যকে একটি পৃথক শাখা রূপে গণ্য করা হয় না, কারণ ভারতচন্দ্র ভিন্ন অপর কোনো কবি এই বিষয়বস্তু অবলম্বন করে কাব্যরচনা করেননি। অন্যান্য মঙ্গলকাব্য এর মত অন্নদামঙ্গল খণ্ডে দেবী অন্নদার মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে।
প্রথম খণ্ড : সতীর দেহত্যাগ ,শিব-পার্বতীর বিবাহ প্রভৃতি পৌরাণিক কাহিনী খণ্ডের প্রথমে বলা হয়েছে। এরপরে বসুন্ধর ও নলকুবেরের হরিহোড় ও ভবানন্দ মজুমদার রুপে মর্তে আগমন , দেবীর হরিহোড়ের গৃহে প্রবেশ , এরপর দেবীর হরিহোড়ের গৃহত্যাগ ও ভবানন্দের গৃহে আগমন প্রভৃতি কাহিনী বর্নীত হয়েছে।
দ্বিতীয় খণ্ড: বিদ্যাসুন্দরের সঙ্গে মূল কাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই। এখানে বর্ধমানের রাজকন্যা বিদ্যা ও কাঞ্চীর রাজকুমার সুন্দর এর প্রেমকাহিনী বর্নীত হয়েছে। এই খন্ডে দেবী কালিকার মাহাত্ব্য প্রচারিত হয়েছে।
তৃতীয় খণ্ড: মানসিংহ , ভবানন্দ মজুমদার , প্রতাপাদিত্যের কাহিনী আছে।
কেন নূতন মঙ্গল ?
অন্নদামঙ্গল কাব্যকে ভারতচন্দ্র নূতন মঙ্গল বলেছেন। ত্রয়োদশ শতক থেকে অস্টাদশ শতকের মধ্যে রচিত মঙ্গলকাব্য গুলির থেকে অন্নদামঙ্গল কাব্য তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের জন্য স্বতন্ত্রতা লাভ করেছে। মঙ্গলকাব্য গুলির মত দেবদেবীর মাহাত্ব্য প্রচারের সঙ্গে সঙ্গেই ভবানন্দ মজুমদারের মাহাত্ব্যও প্রচারিত হয়েছে।সমগ্র কাব্যের মধ্যে প্রথম খন্ডটিই সর্বোৎকৃষ্ট। ভাষা – ছন্দ- অলঙ্কারের ব্যবহার কৌশলে ভারতচন্দ্র মধ্যযুগের সকল কবিকে ছাড়িয়ে গেছেন। ভাঁর কাব্যের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল সুস্পষ্ট সমাজচিত্র অঙ্কন।
ভারতচন্দ্র স্বয়ং অন্নদামঙ্গল কাব্যকে “নূতন মঙ্গল” অভিধায় অভিহিত করেছেন। কবি এই কাব্যে প্রথাসিদ্ধ মঙ্গলকাব্য ধারার পূর্ব ঐতিহ্য ও আঙ্গিককে অনুসরণ করলেও, বিষয়বস্তুর অবতারণায় কিছু নতুনত্বের নিদর্শন রেখেছেন। অন্যান্য মঙ্গলকাব্যের ন্যায় অন্নদামঙ্গল গ্রামীণ পটভূমি বা পরিবেশে রচিত হয়নি; এই কাব্য একান্তই রাজসভার কাব্য। ভারতচন্দ্র এই কাব্যের আখ্যানবস্তু সংগ্রহ করেছিলেন কাশীখণ্ড উপপুরাণ এবং ক্ষিতীশবংশাবলীচরিতম্ ইত্যাদি গ্রন্থ ও লোকপ্রচলিত জনশ্রুতি থেকে।
কাব্য বৈশিষ্ট্য
অন্নদামঙ্গল কাব্যের বৈশিষ্ট্য হল ছন্দ ও অলংকারের সুদক্ষ প্রয়োগ।
“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।। “
-বাঙালীর এই চিরন্তন বানীটি কাব্যে প্রথম ব্যবহার করেন মঙ্গল কাব্য ধারার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর (১৭১২ সাল – ১৭৬০সাল)। প্রায় তিন শত বছর। আগে রচিত তাঁর অন্নদামঙ্গল কাব্যে আমরা দেখতে পাই ঈশ্বরী পাটুনী বা খেয়া ঘাটের মাঝি হলেন একজন সাধারণ বাঙালীর প্রতীক। যার একমাত্র কাজ হল খেয়া বা নৌকায় যাত্রী পারাপার করা। হঠাৎ একদিন অন্নপূর্ণা দেবী কুলবধুর ছদ্মবেশে নদীর কূলে এসে তাকে পার করে দিতে বললেন।নারীকন্ঠ শুনে মাঝি তাড়াতাড়ি ঘাটে নৌকা ভিড়ালেন ঠিকই, কিন্তু একা কুলবধু দেখে প্রশ্ন করলেন
“একা দেখি কুলবধু কে বট আপনি।।
পরিচয় না দিলে করিতে নারি পার।
ভয় করি কি জানি কে দেবে ফেরফার।। “
অর্থাৎ “আপনি দেখছি একা মেয়ে মানুষ, পরিচয় না দিলে তো পার করে দিতে পারি না। ভয় লাগে পরে যদি কোন প্যাঁচ (ফেরফার) পড়তে হয়।।” উত্তরে দেবী বললেন
“বিশেষণে সবিশেষ কহিবারে পারি।
জানহ স্বামীর নাম নাহি ধরে নারী।। “
শতশত বছর অতিক্রম করার পরে আমরা জানি এখনও অনেক বাঙালী নারী স্বামীর নাম মুখে উচ্চারণ করতে লজ্জা পান।যা হোক, একথা বিশ্বাস করে মাঝি বললেন –
“পাটুনী বলিছে মাগো শুন নিবেদন।
সেঁউতী উপরে রাখ ও রাঙ্গা চরণ।।”
এখানে বাঙালী নারীর রাঙ্গা পায়ের চিরন্তন রুপ সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।যুগে যুগে বহু কবি সাহিত্যিক আলতা পরা নারীর রাঙ্গা পায়ের সৌন্দর্য কে সাহিত্যে উপজীব্য করেছেন। যেমন কবি নজরুল তাঁর গানে লিখেছেন ” লাল টুকটুকে বউ যায় লো লাল নটের ক্ষেতে লো লাল নটের ক্ষেতে।/ তার আলতা পরা পায়ের ছোঁয়া……”
আরও পড়ুন
এর পর কাব্যের অতিপ্রাকৃত অংশটুকুতে দেখি যে, কবি লিখেছেন –
“পাটুনীর বাক্যে মাতা হাসিয়া অন্তরে।
রাখিলা দুখানি পদ সেঁউতী উপরে।।
সেঁউতীতে পদ দেবী রাখিতে রাখিতে।
সেঁউতী হইল সোনা দেখিতে দেখিতে।।
সোনার সেঁউতী দেখি পাটুনীর ভয়।
এ ত মেয়ে মেয়ে নয় দেবতা নিশ্চয়।।
তীরে উত্তরিল (আসলো/ভিড়ল)তরী তারা উত্তরিলা।
পূর্বমুখে সুখে গজগমণে চলিলা।।
সেঁউতী লইয়া বক্ষে চলিলা পাটুনী।
পিছে দেখি তারে দেবী ফিরিয়া আপনি।।সভয়ে পাটুনী কহে চক্ষে বহে জল।
দিয়াছ যে পরিচয় সে বুঝিনু ছল।।
হের দেখ সেঁউতীতে থুয়েছিলা পদ।
কাঠের সেঁউতী মোর হৈলা অষ্টপদ।।
ইহাতে বুঝিনু তুমি দেবতা নিশ্চয়।
দয়ায় দিয়াছ দেখা দেহ পরিচয়।।
তপ জপ জানি নাহি ধ্যান জ্ঞান আর।
তবে যে দিয়াছ দেখা দয়া সে তোমার।।
যে দয়া হৈতে মোর এ ভাগ্য উদয়।
সেই দয়া হৈতে মোরে দেহ পরিচয়।।
ছড়াইতে নারি দেবী কহিলা হসিয়া
কহিয়াছি সত্য কথা বুঝহ ভাবিয়া।।
আমি দেবী অন্নপূর্ণা প্রকাশ কাশীতে।
চৈত্রমাসে মোর পুজা শুল্ক অষ্টমীতে।।
কত দিন ছিনু হরিহড়ের নিবাসে।
ছাড়িলাম তার বাড়ী কন্দলের ত্রাসে।।
ভবানন্দ মজুন্দার নিবাসে রহিব।
বর মাগ মনোনীত যাহা চাহ দিব।।”
এই অংশটুকু ভাবার্থ করলে দেখা যায় – মাঝীর কথা শুনে দেবী মনে মনে হাসলেন এবং সেঁউতীতে পা রাখলেন,সঙ্গে সঙ্গে সেঁউতী সোনায় পরিনত হল। সেই সোনার পাত্র দেখে মাঝি ভয় পেয়ে গেল আর ভাবলো এ তো কোন সাধারণ নারী নয়, নিশ্চয় কোন দেবী হবে।তীরে এসে যখন খেয়া ভিড়লো দেবী নেমে পূর্ব দিকে ধীরপদে এগিয়ে গেলেন।মাঝি সোনার পাত্রটি বুকে চেপে দেবীকে অনুসরণ করতে শুরু করলে, দেবী নিজেই পিছনে দেখে ফিরে আসেন মাঝির কাছে। মাঝি এবার সাহস করে দেবীকে বললো যে, দেবী নিশ্চয় তাকে মিথ্যা পরিচয় দিয়াছে।
মাঝি সোনার পাত্রটা দেবীকে দেখিয়ে বললো যে, “দখো, তোমার ছোঁয়ায় আমার কাঠের সেঁউতী সোনায় পরিবর্তিত হয়ে গেছে। এতে আমি বুঝলাম তুমি দেবতা। আমি তপজপ জানিনা,তুমি দয়া করে আমায় যখন দেখা দিয়েছো, আমার সেই সৌভাগ্যের বদৌলতে তুমি তোমার সঠিক পরিচয় আমায় দাও।”তখন দেবী বাধ্য হয়ে নিজের বিস্তারিত বর্ননা দিয়ে মাঝিকে যা খুশি দেবী র নিকট ভর চাইতে বললেন এবং এ ও বললেন যে মাঝি যা চাইবে দেবী তাকে তাই দিবেন।
তার পর দেখা যায়, –
প্রণামীয়া পাটুনী কহিছে জোড় হাতে।
আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।।
তথাস্ত বলিয়া দেবী দিলা বরদান।
দুধে ভাতে রহিবেক তোমার সন্তান।।
এখানে এসে আমরা সন্তানের জন্য সর্বস্ব ত্যাগী বাঙালী পিতার চিরন্তন যে রুপটি আবিষ্কার করি তা হলো এক জন বাঙালী পিতার সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ রুপ বা বৈশিষ্ট্য।বাবা দেবীর বর নিয়ে নিজের জন্যকোটি টাকার স্বর্ণ মুদ্রা কামনা করেননি, চাননি নিজের জন্য কোন সুখ -সম্পদ। চিরন্তন বাঙালী পিতা নিজের জীবনের চাওয়া পাওয়া আর সুখ শান্তির চেয়ে যে সন্তানের সুখ শান্তি কামনা করেন তা সুন্দুর ভাবে ফুটে উঠেছে তিন শত বছর পরে এসে তাই আজো কামনা করি ” আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে।”
কাব্য প্রকাশ
সমগ্র অন্নদামঙ্গল কাব্যের কোনো প্রাচীন নির্ভরযোগ্য পুথি পাওয়া যায় না। প্রাপ্ত পুথিগুলির লিপিকাল ১৭৭৬-১৮২৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়। ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে এই কাব্যটি প্রথম মুদ্রিত হয়।
১. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৪৭ ও ১৮৫৩ সালে এই গ্রন্থের দুটি সংস্করণ প্রকাশ করেন।
২.পরবর্তীকালে বিদ্যাসাগর কৃত সংস্করণটি আদর্শ ধরে অন্নদামঙ্গল কাব্যের অন্যান্য সংস্করণগুলি প্রকাশিত হয়।
৩. লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়াম , প্যারিসের বিবলিওথেক নাসিওনেল দে ফ্রান্স , এশিয়াটিক সোসাইটি ও বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে এই কাব্যের কয়েকটি প্রাচীন পুথি সংরক্ষিত আছে।
৩. ভারতচন্দ্র স্বয়ং অন্নদামঙ্গল কাব্যকে নূতন মঙ্গল অভিধায় অভিহিত করেছেন। কবি এই কাব্যে প্রথাসিদ্ধ মঙ্গলকাব্য ধারার পূর্ব ঐতিহ্য ও আঙ্গিককে অনুসরণ করলেও, বিষয়বস্তুর অবতারণায় কিছু নতুনত্বের নিদর্শন রেখেছেন। অন্যান্য মঙ্গলকাব্যের ন্যায় অন্নদামঙ্গল গ্রামীণ পটভূমি বা পরিবেশে রচিত হয়নি; এই কাব্য একান্তই রাজসভার কাব্য। সংস্কৃত ভাষায় পারঙ্গম ভারতচন্দ্র প্রাচীন সংস্কৃত কাব্যের বিভিন্ন ছন্দ ও অলংকার সার্থকভাবে এই কাব্যে প্রয়োগ করেন।
এই কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কাব্য সম্পর্কে মন্তব্য করেন, “রাজসভাকবি রায়গুণাকরের অন্নদামঙ্গল-গান রাজকণ্ঠের মণিমালার মতো, যেমন তাহার উজ্জ্বলতা তেমনি তাহার কারুকার্য।
কবি কৃতিত্ব
অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে: “অন্নদামঙ্গলকাব্য অষ্টাদশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্য, সমগ্র বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের অন্যতম। … মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র কর্তৃক অন্নপূর্ণা পূজা উপলক্ষ্যে মহারাজের নিজ কীর্তি এবং তাঁহার পূর্বপুরুষ ভবানন্দ মজুমদারের রাজ্য ও রাজা উপাধি লাভের কাহিনী বর্ণনাই ছিল কবির প্রধান উদ্দেশ্য। দেবী অন্নদা (অন্নপূর্ণা) কীভাবে ভবানন্দ মজুমদারকে কৃপা করিলেন, এবং ভবানন্দ কীভাবে জাহাঙ্গীরের দ্বারা অন্নপূর্ণা পূজা করাইয়া রাজত্ব ও রাজা খেতাব লাভ করিলেন – ইহার বর্ণনাই ছিল কবির প্রচ্ছন্ন উদ্দেশ্য। কিন্তু কবি পৌরাণিক অংশ বিশেষ ফলাও করিয়া বর্ণনা করিয়াছেন।”
রাজসভার এ কবির কাব্যে ছিল চাতুর্য, বুদ্ধির খেলা আর পান্ডিত্য। সহজ সরল কোন অনুভূতি তাঁকে মুগ্ধ করেনি বুং তিনি সব সময় চেয়েছেন এমন বস্তু যা তাঁর পাঠককে চমকে দিবে। তাঁর কথা ছিল ধারালো, চকচকে তরবারির মত। কবির সবকিছুতেই ঠাট্টা খুঁজে পেতেন। বিদ্রুপ করতে পারতেন সবাইকে নিয়ে। মধ্যযুগের সকল কবিই যখন নিজের নায়িকাকে চাঁদের মত রূপসী বলছেন তখন ভারতচন্দ্র বললেন কে বলে শারদ শশী সে মুখের তুলা পদনখে পড়ে আছে তাঁর কতগুলা।
মধ্যযুগের এ বর্ণকারিগর এমন অসংখ্য চমৎকার কথা বলেছেন অবিরাম। তাঁর মুখের অনেক কথা প্রবাদ হয়ে আজো প্রাণময় মানুষের মুখে মুখে।
নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায় ? মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন। এ সবই কবির মুখনিঃসৃত বাক্য।
কবির কাব্য মাত্র একটি- নাম ‘অন্নদামঙ্গল কাব্য’। কবির ভাষায় নূতন মঙ্গল ।
তথ্যসূত্র : বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (ড. অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়), ড. ক্ষেত্র গুপ্তের বাংলা সাহিত্যের সমগ্র ইতিহাস, উইকিপিডিয়া, ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়এর বাংলা সাহিত্য পরিচয়।